প্রশ্নোত্তরে ই-সেবীর খুঁটিনাটি(FAQ)
“ই-সেবী” এমন একটি ব্র্যান্ড নাম ও উন্নয়ন মডেল যা ২০১৪ সালে বাংলাদেশে একটি প্রায়োগিক গবেষণার মাধ্যমে শুরু হয়েছে। এটি একটি নতুন ধারার সামাজিক উদ্যোগ। ব্যক্তি সামাজিক উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ই-সেবীর মূল কৌশল।
ইংরেজী eSheBee একটি প্রতীকি শব্দ যার ৩টি অংশ রয়েছে। প্রথম অংশ e দিয়ে বুঝানো হয়– entrepreneur, electronic এবং empowerment; দ্বিতীয় অংশ she দিয়ে বুঝানো হয়– নারীদের এবং তৃতীয় অংশ Bee বা মৌমাছি শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে কঠোর পরিশ্রম এর প্রতীক হিসেবে।
প্রত্যন্ত, সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ অঞ্চলের যুব–নারীরা বেশিরভাগ সরকারী এবং বেসরকারী উদ্যোগের সুযোগ থেকে অপেক্ষাকৃত বেশি বঞ্চিত। তারা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে দারিদ্র্যচক্রের মধ্যে থেকে যায়। ই–সেবী তাদের উৎপাদিত পণ্য ও সেবার বাজার নাগালের মধ্যে নিয়ে আসছে।
জেন্ডার সমতা, উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বাস্তুতন্ত্র সহ দারিদ্র্য মুক্ত পৃথিবী তৈরিতে অবদান রাখা।
উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে স্থানীয় সম্পদের সর্বাধিক ব্যবহারের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত নারী সম্প্রদায়ের মধ্যে সামাজিক উদ্যোগকে বিকশিত করে ব্যয়–সাশ্রয়ী, সমসাময়িক এবং টেকসই উন্নয়নের মডেলসমূহ বিনির্মাণ করা।
১) সামাজিক উদ্যোক্তা বাহিনী গড়ে তোলা;
২) উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির শক্তি ব্যবহার করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা;
৩) উদ্যোক্তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা ধারনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সামাজিক বাধা মোকাবেলায় অবদান রাখা
৪) সমসাময়িক বিষয়ের আলোকে টেকসই মডেল বিনির্মাণ ও বিস্তার
‘ই–সেবী’ একটি সামাজিক উদ্যোক্তা উন্নয়ন মডেল যা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীতে নির্বাচিত ব্যক্তিদের সামাজিক উদ্যোক্তা হিসেবে বিকশিত করে। বিকশিত সামাজিক উদ্যোক্তাগণ নিজেকে স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি তার নিজের সমাজে জেন্ডার বৈষম্য দূরীকরণ, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন সহ অন্যান্য সামাজিক সমস্যা মোকাবেলা করে।
ই–সেবী একটি ব্যয় সাশ্রয়ী, স্থানীয় সম্পদ ভিত্তিক ও বটম–আপ অ্যাপ্রোচ মডেল। উদ্যোক্তার সামাজিক দায়বদ্ধতা, উদ্যোক্তার উদ্যোক্তা, প্রশিক্ষণ বিদ্যা, অনুসন্ধান গবেষণা ইত্যাদি নতুন নতুন ধারনাসমূহ এ মডেল এর গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় দিক।
বাংলাদেশী সামাজিক উদ্যোক্তা মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশগ্রহণে ২০১৪–১৫ সালে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় একটি প্রায়োগিক গবেষণা পরিচালনা করেন এবং ই–সেবী মডেল এর সূচনা করেন। পরবর্তীতে দেশের অন্যান্য এলাকায় অনুসন্ধান গবেষণার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গতা পেয়ে বিস্তৃত হয়।
ই–সেবী মডেল বাস্তবায়নে উদ্ভাবন ও আইসিটি শক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করা হয়। যেমন– বেসলাইন সমীক্ষা, রেকর্ড সংরক্ষণ, যোগাযোগ, প্রচার, পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, নেটওয়ার্কিং, ই–বাণিজ্য, ই–কৃষি, ই–স্বাস্থ্য, ই–লার্নিং, ই–পরিষেবাসমূহ ইত্যাদি।
ই–সেবী মডেলের বেশিরভাগ প্রশিক্ষণ সরাসরি শুরু হলেও সেগুলো চলমান থাকে এবং শেষ হয় ই–লার্নিং দিয়ে। ঢাকা শহরের বেশিরভাগ অভিজ্ঞ এবং প্রযুক্তিজ্ঞান সমৃদ্ধ প্রশিক্ষক এবং পরামর্শদাতাগণ প্রত্যন্ত অঞ্চলের ই–সেবী নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ই–লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করেন।
ইসিসি এমন একটি কেন্দ্র যা ব্যবসায়িক ধারণা তৈরি এবং ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরিতে ই–সেবীর সাথে সম্পৃক্ত প্রারম্ভিক উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রদান করে। এটি উদ্যোক্তাদের আগ্রহের ভিত্তিতে নিয়মিত বিটুবি সভা, ওয়ার্কশপ, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, আলোচনার ব্যবস্থা করে। ইসিসি তরুণ উদ্যোক্তাদের মেন্টরিং করে।
ই–সেবী কর্মসূচি বাস্তবায়নে যে সকল ব্যক্তি স্বেচ্ছাসেবার মাধ্যমে কাজ করেন এবং উদ্যোক্তার সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করেন তাদেরকে ই–সেবী এসোসিয়েট বা সহযোগী উদ্যোক্তা বলা হয়।
নিম্নোক্ত বিষয়গুলোতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সামাজিক উদ্যোক্তা ই–সেবী এসোসিয়েট হতে পারবেন: ক) ই–সেবী মডেল এর উপর পূর্ণাঙ্গ আস্থা; খ) ই–সেবীর লক্ষ্যিত জনগোষ্ঠীর সাথে অংশীদারিত্ব; এবং গ) উদ্যোক্তার সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করা এবং এক্ষেত্রে জেন্ডার সমতা এবং সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাকে প্রাধান্য দেওয়া।
ই–সেবী কর্মসূচি বাস্তবায়নে যে সকল উদ্যোগী প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছাসেবার মাধ্যমে কাজ করেন এবং উদ্যোক্তার সামাজিক দায়বদ্ধতা পালনে সহায়তা করেন সেগুলোকে ই–সেবী‘র এসোসিয়েট এন্টারপ্রাইজ বা সহযোগী উদ্যোগী প্রতিষ্ঠান বলা হয়।
নিম্নোক্ত বিষয়গুলোতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উদ্যোগী প্রতিষ্ঠান ই–সেবী’র এসোসিয়েট এন্টারপ্রাইজ হতে পারবে: ক) ই–সেবী মডেল এর উপর পূর্ণাঙ্গ আস্থা; খ) ই–সেবীর লক্ষ্যিত জনগোষ্ঠীর সাথে অংশীদারিত্ব; এবং গ) উদ্যোক্তার সামাজিক দায়বদ্ধতা পালনে সহযোগিতা প্রদান।
ই–সেবী এন্টারপ্রাইজেস এর নিজস্ব তহবিল, ই–সেবী নারী উদ্যোক্তাদের নিজস্ব তহবিল, তাদের পরিবারের সদস্য, সহযোগী উদ্যোক্তা, সহযোগী উদ্যোগী প্রতিষ্ঠান, দেবদূত বিনিয়োগকারী, ভেঞ্চার পুঁজি বিনিয়োগকারী, ব্যক্তিগত ও আর্থি ক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ।
এক. ই–সেবী এন্টারপ্রাইজেস এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে;
দুই. ধারাবাহিক যোগাযোগ/সভা করে ই–সেবীর নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবসায়িক ধারনা পছন্দ ও পরিকল্পনা করতে হবে;
তিন. ব্যবসায়িক চুক্তি প্রস্তুতিতে অংশগ্রহণ ও স্বাক্ষর করতে হবে;
চার. চুক্তির শর্ত মোতাবেক বিনিয়োগ ও দায়িত্ব পালন করতে হবে।
ই–সেবী কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্থানীয়ভাবে যেসকল প্রতিষ্ঠান [এনজিও, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান (ইউনিয়ন পরিষদ, পঞ্চায়েত, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ইত্যাদি), শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী পরিষেবা সরবরাহকারী, ক্লাব, সমাজকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী দল] সমর্থন ও সহযোগিতা করে থাকে সেগুলোকে স্থানীয় সমর্থক প্রতিষ্ঠান বলা হয়।
ই–সেবী কর্মসূচি বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয়ভাবে যেসকল প্রতিষ্ঠান [এনজিও, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক কোম্পানী, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, এসোসিয়েশন, নেটওয়ার্ক, সরকারী প্রতিষ্ঠান, ক্লাব, সমাজকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী দল] সমর্থন ও সহযোগিতা করে থাকে সেগুলোকে কেন্দ্রীয় সমর্থক প্রতিষ্ঠান বলা হয়।
eSheBee is a brand name and development model that was launched in Bangladesh through an action research in 2014. It is a new kind of social Enterprise. Socio-economic development through the creation of individual social entrepreneurship is the key strategy of eSheBee.
eSheBee is a symbolic word that represents three major parts.
# First part ‘e’ represents electronics, entrepreneurship and empowerment.
# Second part ‘She’ represents women and the third part ‘Bee’ has been used as a symbol of hard work.
Young women in remote, disadvantaged and rural areas are relatively deprived of most public and private sector opportunities. They live in poverty with other family members. eSheBee is bringing their products and services within reach of the market.
Contribute to creating a poverty free happy planet with gender equality, productive employment, sustainable economic growth and ecosystems.
To develop cost-effective, contemporary and sustainable development models by developing social enterprises within the underprivileged women community through the maximum utilization of local resources in the empowerment of women through the use of innovation and technology.
1) To build social entrepreneurial forces;
2) Create employment opportunities using the power of innovation and technology;
3) Contributing to addressing social barriers by implementing entrepreneurial social responsibility ideas;
4) Building and expanding sustainable models in the light of contemporary issues;
eSheBee is a social entrepreneurship development model that develops the selected people in the backward community as social entrepreneurs.
Developed social entrepreneurs in addition to self-sufficiency, tackle gender discrimination in their own society, tackle other social issues including women’s economic empowerment.
eSheBee is a cost-effective, local resource based and bottom-up approach model. New ideas of entrepreneurial social responsibility, entrepreneurial entrepreneurship, training, research etc are important and interesting aspects of this model.
Bangladeshi social entrepreneur Mohammad Mosharrof Hossain conducted an action research in Kamalganj upazila of Moulvibazar district in 2014-15 and launched the eSheBee model with the participation of volunteers and local organizations. Later, in other parts of the country, the research was completed and extended to the fullest extent.
Innovation and the power of ICT are best utilized in the implementation of eSheBee model. Such as baseline surveys, record keeping, communication, dissemination, monitoring and control, financial management, networking, e-commerce, e-agriculture, e-health, e-learning, e-services, etc.
Most of the training for the eSheBee model is started directly but continues and ends with e-learning. Most of the experienced and technology-rich trainers and consultants of Dhaka City conduct training courses using e-learning platform for eSheBee women entrepreneurs in remote areas.
ECC is a center that involves with eSheBee for providing support to the startup entrepreneurs in generating business ideas and preparing business plans. It arranges regular B2B meetings, Workshops, Seminar, training, discussion for the interest of entrepreneurs. ECC is mentoring young entrepreneurs.
Individuals who work through voluntary work and carry out the social responsibility of the entrepreneur in implementing the eSheBee program are called eSheBee Associates or Associate Entrepreneurs.
The committed social entrepreneurs can be eSheBee Associate in the following areas:
- Full confidence in eSheBee Model.
- Partnership with the target community of eSheBee.
- Perform Entrepreneurs Social Responsibility and in this case, gender equality and deal with social challenges are given priority.
The entrepreneurial organizations that work through volunteering and assist the entrepreneur in fulfilling the social responsibility of implementing the eSheBee program are called Associate Enterprise or Associate Entrepreneurship of eSheBee.
Entrepreneurs committed to the following areas will be Associate Enterprise of eSheBee:
- Full confidence in eSheBee Model.
- Partnership with the target community of eSheBee.
- providing support for perform entrepreneurs social responsibility
Own fund of eSheBee Enterprises,women entrepreneurs funds, their family members, associate entrepreneurs, associate venture companies, investors, venture capital investors, loan from private and financial institutions.
- Contact with eSheBee Enterprises;
- Need to scheduled communication/ meeting for making business ideas and plans through the process of eSheBee;
- Participate in and sign business agreement preparation;
- Investment and responsibility should be performed as per the terms of the contract.
Local organizations [NGOs, local government organizations (union parishad, panchayats, municipalities, upazila parishad, etc.), educational institutions, government service providers, clubs, social workers and volunteer groups] that supports in implementing the eSheBee program is called local support group.
Central supporting organizations [NGOs, educational institutions, multinational companies, business organizations, associations, networks, government organizations, clubs, social workers and volunteer groups] that support and cooperate in the implementation of the eSheBee program is called central supporting organization.